রাজনৈতিক সমর্থন ও জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের একাংশ আসন্ন নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরির জন্য অবরোধ কার্যকরে তাদের তৎপরতা জোরদার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে একাধিক পোস্টে এ অভিযোগ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যখন আগামী ৭ জানুয়ারির পূর্বনির্ধারিত অত্যন্ত অংশগ্রহণমূলক এবং দারুণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের উৎসবে প্রবেশ করছে, তখন জাতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে লাইনচ্যুত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করে চলেছে। রাজনৈতিক সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার পর জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তাদের মিত্রদের একটি অংশ আসন্ন নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরির লক্ষ্যে অবরোধ কার্যকর করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। বিএনপির এ কৌশলগত পদক্ষেপের কারণে সারাদেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের সমর্থকেরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং তাদের বিতর্কিত দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি করতে এ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এ সহিংসতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ ১৩ ডিসেম্বর ঘটে, যখন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রেলওয়ে ট্র্যাকের ২০ ফুটের একটি অংশ সরিয়ে দেয়। ফলে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ভোর চারটার দিকে ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় একজন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি যাত্রী আহত হন।
ওই ঘটনা বিএনপির ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের ফল। জাতীয় স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে এসব দল কতটা বিপজ্জনক পথে যেতে পারে, ওই ঘটনা তার একটি দৃষ্টান্ত।
আবার ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় নাশকতাকারীরা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দিলে একজন নারী ও তার তিন বছরের ছেলেসহ অন্তত চার যাত্রী নিহত হন। বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক অস্থিরতার বাইরে প্রসারিত; তারা নাগরিকদের শারীরিক এবং সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা গোষ্ঠীগুলোর রেলের ট্র্যাক ছিন্ন করার জন্য ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ উন্মোচন করেছে।