তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ১১৬ রান গুটিয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে ‘প্রতিশোধ’ নিয়ে ফের ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সমতায় ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কারণে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে গেছে অঘোষিত ফাইনাল। সেই ফাইনালে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জয় করে নিয়েছে ভারত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বোলান্ড পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সঞ্জু স্যামসনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৯৬ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৫.৫ ওভারে ২১৮ রানেই গুটিয়ে প্রোটিয়ারা। ভারত জিতে যায় ৭৮ রানে।
ভারতের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় ভালোভাবেই ইনিংস শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান তোলো তারা। ২৪ রানে ১৯ রান করে ওপেনার রিজা হেন্ডরিক্স ফিরলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটি করেন টনি ডি জর্জি ও অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।
ধরে খেলা মার্করাম যেকোনো সময় ঝড় তুলতে পারে, এই শঙ্কায় তাতে ফেরানের জন্য অস্থির হয়ে পড়ে ভারত। অবশেষে ভারতকে স্বস্তি এনে দেন ওয়াশিংটন সু্ন্দর। ৪১ বলে ৩৬ রান করা মার্করামকে উইকেটরক্ষক রাহুলের হাতের ক্যাচ বানান তিনি।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটার টনি ডি জর্জি এই ম্যাচেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাকে সেটি করতে দেয় নি বাঁহাতি পেসার অর্শদিপ সিং। ৮৭ বলে ৮১ করা এই ব্যাটার এলব্ডিব্লিউ করে ফেরত পাঠান তিনি।
জর্জির উইকেট যাওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটরক্ষক ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন করেন ২২ বলে ২১ রান। ডেভিড মিলার ১০, কেশভ মহারাজ ১৪ ও বুরেন হেন্ডরিক্স করেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ২১৮ রানের গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়াদের ইনিংস।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ রানের আগে দুটি উইকেট হারায় ভারত। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও সঞ্জু স্যামসন। তবে বেশিদূর সামনে এগুতে পারেননি রাহুল। মুল্ডারের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩৫ বলে ২১ রান।
এরপর দলকে জেতানোর জুটিটি করে ফেলেন স্যামসন আর তিলক ভার্মা। ১৩৬ বলে ১১৬ রানের জুটিতে গড়েন তারা। হাফসেঞ্চুরি করে তিলক ফিরলেও সেঞ্চুরি হাঁকান স্যামসন। ৭৭ বলে ৫২ রান করে কেশভ মহারাজের বলে মুল্ডারের হাতে ক্যাচ হন তিনি। আর ১১৪ বলে ১০৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন স্যামসন। ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি।
শেষদিকে রিংকু সিংয়ের ২৭ বলে ৩৮ রানের গতিশীল ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের দিকে এগিয়ে যায় ভারত। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান করে সফরকারী ভারত।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন অশ্বদিপ সিং। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন বুরেন হেন্ডরিক্স।