বিএনপি সন্ত্রাসী দল, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগৃহীত ছবি

বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ ও জামায়াতকে ‘যুদ্ধাপরাধীদের দল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে ছয় জেলায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় আওয়ামী লীগের তেজগাঁওয়ের কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জনসভায় বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী।

কুষ্টিয়ার পাবলিক লাইব্রেরি, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নেত্রকোনার জেলা স্টেডিয়াম, রাঙামাটির শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন তিনি। পরে তিনি এসব স্থানের উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দল আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নকে সচল রাখার জন্যই বিএনপি-জামায়াত উভয়ের হাত থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। এ সময় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। তাহলেই দেশে উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকবে।

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারাটা তখনই অব্যাহত থাকবে, যখন নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার মনমতো প্রার্থী বেছে নেবে এবং গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকবে। তাই আমার আবেদন থাকবে সবার কাছে, এই গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে। উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ধরে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমরা যেন আরও উন্নত সমৃদ্ধ করতে পারি, সেই প্রচেষ্টাটা অব্যাহত রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা আমরা দিয়েছি। কাজেই আমাদের প্রত্যেক মানুষকে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিশিক্ষায় সুশিক্ষিত করে তুলব। জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থাও স্মার্ট হবে। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলব, মাথা উঁচু করে চলব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

শেয়ার করুন