ভারত মহাসাগরে বিপদে পড়া একটি নৌকা থেকে ১৮৫ রোহিঙ্গাকে দ্রুত উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিপদগ্রস্ত আরোহীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। নৌকাটির সবশেষ অবস্থান আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি ছিল বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নৌকার আরোহীদের মধ্যে ৭০ জন শিশু এবং ৮৮ জন নারী রয়েছেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, অন্তত এক ডজন আরোহীর অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং একজন এরই মধ্যে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সময়মতো উদ্ধার করা না হলে উপকূলবর্তী দেশগুলোর চোখের সামনেই আরও অনেকে প্রাণ হারাবে বলে সতর্ক করেছে তারা।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বাবর বেলুচ বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধারের জন্য এ অঞ্চলের সব উপকূলীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছেন। আরোহীরা সবাই রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে এবং বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে পালিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার মুসলিম রোহিঙ্গা বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া পৌঁছানোর চেষ্টা করে। আর এটি করতে গিয়ে প্রাণ যায় অনেকের।
ইউএনএইচসিআরের হিসাবে, ২০২২ সালে দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গা সাগর পাড়ি দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল।
আর গত বছর থেকে ওই অঞ্চলের সাগরে ৫৭০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাও রয়েছে।
ইউএনএইচসিআর জোর দিয়ে বলেছে, জীবন বাঁচানোর জন্য সময়মতো চেষ্টা করলে বড় ট্র্যাজেডি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি