সরকারের যা কিছু ভুলত্রুটি, তার দায়ভার আমাদের: শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগৃহীত ছবি

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এবার আবারও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে দলের ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ সরকারের ১৫ বছরের ভুলত্রুটির কথাও বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ১৫ বছরের সরকার পরিচালনার পথপরিক্রমায় যা কিছু ভুলত্রুটি, তার দায়ভার আমাদের। সাফল্যের কৃতিত্ব আপনাদের। আমাদের ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব।

universel cardiac hospital

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।

বক্তৃতার শেষ দিকে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চান। তিনি বলেন, আসুন, আরও একবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে দেশ। এ উত্তরণ যেমন একদিকে সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জেরও। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।

আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক অর্জনগুলো তুলে ধরে দলীয় প্রধান বলেন, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়, মাতৃভূমির স্বাধীনতা থেকে শুরু করে এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন, তা এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক আওয়ামী লীগের হাত ধরেই ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চমধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, যত দিন আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখেন, সুস্থ রাখেন, তত দিন যা কর্তব্য হিসেবে আমি গ্রহণ করেছি, সেখান থেকে সরে আসব না। আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করার মধ্য দিয়েই আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, মা–বাবা, ভাই, আত্মীয়স্বজন—সকলকে হারিয়ে আমি রাজনীতিতে এসেছি শুধু আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এ কাজ করতে গিয়ে আমাকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে বারবার। কিন্তু বাবার কথা ভেবে, আপনাদের কথা ভেবে আমি পিছপা হইনি।

শেয়ার করুন