ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে শুরু থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এতে নতুন মাত্রা যোগ হয় হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো জড়িয়ে পড়ায়।
সর্বশেষ ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা আরও প্রকট হয়েছে। সেদিকে এগোলে এ অঞ্চলে ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। খবর সিএনএনের।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল নির্বিচার হামলা অব্যাহত রাখলে দেশটির লেবানন সীমান্তে সংঘাতে জড়ায় হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। শুরুর দিকে পাল্টাপাল্টি হামলা সীমান্ত এলাকায় সীমিত ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন লেবাননের আরও ভেতরে হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলের লোহিত সাগর-তীরবর্তী বন্দরনগরী ইলাত লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। একই সঙ্গে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজেও হামলা চালিয়ে আসছে তারা।
বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের নৌবাহিনী ও যুদ্ধজাহাজগুলোকে লোহিত সাগরে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ক্রমবর্ধমান হামলার ঝুঁকিতে আছেন। এ অঞ্চলের অবনতিশীল পরিস্থিতি হোয়াইট হাউসের অবকাশের এ সময়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
আঞ্চলিক যুদ্ধে ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ২০২৪ সালে পুনর্নির্বাচনের জন্য লড়তে হবে। নতুন বছর শুরুর সময়ে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সঙ্গে ভারত মহাসাগর থেকে লোহিত সাগর এবং ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েল পর্যন্ত বিরাট এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত এসব বিষয় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য নতুন বিদেশি সংকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
গাজায়া হামলার তীব্রতা কমানোর জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও গাজায় এই অভিযান কয়েক মাস ধরে চলবে বলে ইসরায়েলের পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে। এতে যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি জড়িয়ে ফেলার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।