রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দেওয়া বিদেশি নাগরিক ও তাদের পরিবারকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির সামরিক বাহিনীতে চুক্তিবদ্ধ বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিতে এরই মধ্যে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন তিনি।
রাশিয়ার সরকারি পোর্টালে প্রকাশিত ওই ডিক্রিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু হওয়ার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনী বা অন্যান্য সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করেছেন এমন বিদেশি নাগরিকরা রুশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার পাবেন। নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও। এক্ষেত্রে যুদ্ধে অংশ নেওয়াদের স্বামী-স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতাও এ আবেদন করতে পারবেন।
তবে এখানে একটি শর্ত রয়েছে। সেটি হলো, নাগরিকত্ব পেতে হলে নূনতম এক বছরের জন্য যুদ্ধ করতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রমানপত্র দেখাতে হবে। এমনকি, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ছাড়াও যারা ওয়াগনারের মতো ভাড়াটে বাহিনীতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বিদেশি নাগরিকরাও এই সুবিধা পাবেন। আবার এই সময়ের মধ্যে সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সৈন্যরাও আবেদন করতে পারবেন।
জানা গেছে, কিউবার অনেক নাগরিক যুদ্ধ করতে রাশিয়ায় এসেছেন। এর মধ্যে ওয়াগনারের মাধ্যমে তিনজন আফ্রিকান যোগ দিয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। কিউবায় একজন সাধারণ নাগরিক মাসে যে পরিমাণ অর্থ আয় করেন- যুদ্ধ করতে আসা ব্যক্তিরা যুদ্ধ করতে এসে তার তুলনায় ১০০ গুণ বেশি অর্থ আয় করছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া প্রথমবারের মতো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আরও ৩ লাখ সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছিল। নতুন করে আর কোনো সেনা সমাবেশ ঘটানো হবে না বলে জানিয়েছেন পুতিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে আগামী মার্চে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষে তিনি আবারও এ ধরনের নির্দেশ দেবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা শাখার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ৩ লাখ সৈন্য নিহত হয়েছেন। যদিও প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কোনো দেশই পুরিপুরো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
সূত্র : রয়টার্স