সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে ট্রেনগুলো যথা সময়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। তবে গত রাতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫) ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর ফলে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, অন্যান্য দিনের মতো সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে। ট্রেনগুলো যথা সময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। গতরাতের ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা গেছে। যাত্রীর সংখ্যাও কম দেখা গেছে স্টেশনে।
সরিষাবাড়ীগামী জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯) ট্রেনের যাত্রী সানু সরকার বলেন, ঢাকা থেকে ট্রেন ১০টার সময়ই ছেড়েছে। এই যাত্রা দিনের বেলায় হলেও গতরাতের ঘটনায় নিজের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে। এছাড়া নানা ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার খবর গত কয়েক মাসে দেখেছি।
পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস (৭০৫) ট্রেনের যাত্রী কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে প্রতিটি ট্রেন ঠিক সময়ে ছাড়তে দেখেছি। তবে স্টেশনে ও ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। অনেক দূরের পথ, যেতে কিছুটা ভয়ও কাজ করছে।
এদিকে রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার রাতে ঢাকা-মাওয়া রেলপথে পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন রুটের ২২টি ট্রেন ২ দিন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই ২ দিন হলো- নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি ও নির্বাচনের দিন ৭ জানুয়ারি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত পৌনে একটা বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম মহাব্যবস্থাপকের ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্বৃত্তদের দেওয়া এ আগুনে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।