আগুন লাগা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের বরাত দিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি নাশকতা। ট্রেনের যাত্রীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটিতে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা তারা দেখেছেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট সংলগ্ন বস্তির একটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ককটেল, পেট্রোলবোমা ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগার কারণ, কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এবং কোন জায়গা থেকে আগুন দেওয়া হয়েছে- এসব বিষয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে র্যাবের গোয়েন্দা দল। যারা ট্রেনটিতে যাত্রী ছিলেন অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা তারা দেখেছেন।
এর আগে জুরাইন রেলগেট সংলগ্ন বস্তির একটি বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব-৩ এর সদস্যরা। বস্তির সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- আলমগীর, রাব্বী ও কাশেম। ওই বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা এবং বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ট্রেনে যারা যাত্রী ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে এটি নাশকতা ছিল। ট্রেনে আগুন লাগার পরপরই র্যাব-৩ একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জুরাইন রেলগেট সংলগ্ন বস্তিতে কিছু তথ্য বস্তিবাসী দেয়।
তিনি বলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বস্তির একটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয় এবং অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়। আটক তিনজন এই বস্তিতে বসে বিপুল পরিমাণ ককটেল ও পেট্রোলবোম তৈরি করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা উদ্ধার করা হয়। র্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ করেছে। বস্তিটি রেললাইনের পাশে এবং খুবই স্পর্শকাতর স্থান। এখানে বসে যেকোনো ট্রেন কিংবা যেকোনো জায়গায় ব্যাপক নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
তিনজন আটকের পর আয়নাল নামের একজন ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে জানিয়ে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, আয়নাল আটক তিনজনকে দিয়ে ককটেল ও পেট্রোলবোম বানাচ্ছিলেন। এর আগেও তারা ককটেল ও পেট্রোলবোম তৈরি করেছিলেন। তিনজনকে আটকের পর তারা জানায়, টাকার জন্য তারা ককটেল ও পেট্রোল বোম তৈরি করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই নাশকতার চেষ্টা করছে। যারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যাবেন তাদের বাধাদান কিংবা নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেককেই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি, বেশকিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি নাশকতারোধে আমাদের গোয়েন্দা কাজ করছে। যেখানেই তথ্য পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছি।