দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির ডাকা দুই দিনের হরতালও চলছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দেশের ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে ভোটের সময় গণপরিবহন চলার কথা থাকলেও রাস্তায় তেমন কোনও যানবাহন দেখা যায়নি। নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া খুব কম সংখ্যক গাড়ি চলাচল করছে। পরিবহন না থাকায় ভোট কেন্দ্রে যেতে বিপাকেও পড়ছেন কেউ কেউ।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি, কলাবাগান, পান্থপথ, মিরপুর রোড, কাওরানবাজার, গ্রিনরোড, ফার্মগেটসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে তেমন কোনও গণপরিবহন চোখে পড়েনি। এসময় বাসের তুলনায় রাস্তায় সিএনজি ও রিকশা বেশি দেখা গেছে। কিছু কিছু এলাকায় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ভোটের কারণে আজ সাধারণ ছুটি। বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত সোমবার জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে ৭২ ঘণ্টা দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন; যা শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হবে। একই সঙ্গে ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলও বন্ধ থাকবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন রোববার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শুরু হয়ে ভোটের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত বাইক চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা জরুরি কোনও কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলতে পারবে। এজন্য রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন নিতে হবে এবং স্টিকার প্রদর্শন করতে হবে। তাছাড়া গণপরিবহন চলাচলে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি।
ফার্মগেট থেকে মিরপুরগামী যাত্রী তালেব আহমেদ জানান, আধাঘণ্টার উপরে অপেক্ষা করেও কোনও বাস পাইনি। তাই নিরুপায় হয়ে রিকশায় রওনা হলাম।
এদিকে তেজগাঁও থেকে মালিবাগে ভোট দিতে গিয়েও পরিবহন সংকটের মধ্যে পড়েছেন ফয়জুল আমীন। তিনি বলেন, ভোট দিতে যাবো, তাও কোনও পরিবহন পাচ্ছি না। রিকশা ভাড়া চাচ্ছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। গত ৪০ মিনিট পথে দাড়িয়ে থেকে কোনও বাসের দেখা পাইনি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, নির্বাচনি কাজে প্রায় ৫ হাজার গাড়ি ব্যবহৃত হবে। বেশিরভাগ গাড়ি রিকুইজেশনে চলে গেছে। এ জন্য সড়কে গাড়ি এমনিতেই কম। তারপরও যেগুলো আছে সেগুলো রাস্তায় নামবে।