অপরাজেয় শেখ হাসিনা

মিতি সানজানা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

পাহাড়প্রমাণ বাধা, দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র, সেসব একেবারে উড়িয়ে দিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকারপ্রধান হওয়ার অনন্য নজির গড়তে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

একজন শেখ হাসিনা, কোটি প্রাণের স্বপ্ন। তাকে বারবার ছিন্নভিন্ন করতে চেয়েছে বিরোধীরা। ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হারানোর পর দীর্ঘ ২১টি বছর আওয়ামী লীগকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ক্ষমতায় আসার জন্য।

জাতির জনককে হত্যার পর এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, যার ধমনিতে, প্রতিটি শিরা-উপশিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত, সমগ্র জাতি জানতো বাঙালির দুঃসময়ের উত্তরণ তিনিই ঘটাবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সারাদেশে, গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা। সাহসী ও দৃঢ়সংকল্প নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছেন যেখানে তার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই।

একসময় দুর্নীতি, খাদ্য ঘাটতি, বিদ্যুত ঘাটতি আর জঙ্গিবাদের দেশে পরিণত হয়েছিল এই দেশ। কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি একজন শেখ হাসিনার হাত ধরে, দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ, বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। দেশ-বিদেশে আজ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গ্রহণযোগ্যতা। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি হয়েছেন ‘মাদার অব হিউমিনিটি’। এজন্য আন্তর্জাতিক পরিসরেও বাংলাদেশ এখন অনন্য উচ্চতায়।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাঁরই হাত ধরে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল,বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক-রেল-নৌ-বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট-প্রযুক্তির অভিজাত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ ও নেতৃত্বের জন্য ১৭ কোটি মানুষের হৃদয়ে এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জ্বলজ্বল করছে। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনকে গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে-বিদেশে তরুণ-তরুণীদের কাজের সুযোগ বাড়বে। প্রথাগত কর্মসংস্থানের ধারণা থেকে বেরিয়ে তরুণ সমাজ যেন উদ্ভাবনী উদ্যোগ, নিজের ও সমাজের জন্য পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে, সে ধরনের প্রণোদনার সঞ্চার করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। আর তাই জনগণের রায়ে ক্ষমতায় এসে সেই সেই ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেন শেখ হাসিনা।

এই নির্বাচনে জনগণের সমর্থন, অকুণ্ঠ ভালোবাসা আবারও প্রমাণ করলো বাংলার মানুষের হৃদয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাই আসীন। সেই সঙ্গেই তাঁর বার্তা, জনগণের কল্যাণে ইশতেহারের বাস্তবায়নে তাঁর দল সর্বদা বদ্ধপরিকর। সাধারণ মানুষের উন্নতিকল্পে মানবতার নেত্রী সদা নিবেদিতপ্রাণ। ২০০৯ সালে তিনি আমাদের উপহার দিয়েছিলেন “দিন বদলের সনদ” আর এবার সেই রোড ম্যাপ ধরে আমরা হেঁটে যাব স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অপরাজেয় শেখ হাসিনার হাত ধরে।

পঞ্চমবারের পথচলা আরও সুন্দর, মসৃণ ও দৃঢ় হোক। ভূমিধস বিজয়ে আন্তরিক অভিনন্দন।

লেখক : বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সামাজিক সংগঠন অগ্নি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা।

শেয়ার করুন