বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ নয়, কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী সোহাগ তালাবদ্ধ করেছিলেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ডিএমপি জানায়, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ শেষে বিএনপিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী সোহাগ বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে রাতযাপন করেন। ২৯ অক্টোবর সকালে কার্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করেন সোহাগ।
এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ স্থলের অদূরে কাকরাইল ও বিজয়নগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরদিন থেকে আন্দোলনে যায় দলটি। সেদিন থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল।
ডিএমপি এর আগেও একাধিকবার জানিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ কখনই তালা দিয়ে রাখেনি। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে। এরপর সোহাগের তালা দেওয়ার কথা জানতে পারে পুলিশ।
ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএনপি অফিসে তালা দেওয়া সম্পর্কে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য এবং এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর চাবি ফেরত চাওয়ার পত্রটি যথাযথ নয় বলে প্রতীয়মান হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সবার কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য প্রত্যাশা করে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালা ভাঙেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন সুনসান নীরবতা ছিল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। বৃহস্পতিবার নেতাকর্মীদের আনাগোনায় প্রাণ ফিরে পায় কার্যালয়টি।