সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশ নিজেদের ‘এক চীন’ নীতিতে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছে। সেখানে তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, সম্প্রতি তাইওয়ানে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এক চীন নীতির প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে যেকোনো ধরনের অযৌক্তিক উস্কানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানায়।
গত শনিবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে জয়ী হয়েছেন। তিনি তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী এবং যুক্তরাষ্ট্রপন্থি নেতা। নতুন প্রশাসনের সঙ্গে চীনের সংঘাত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে চীন। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে তাইওয়ানে চলে আসছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। এর আগে তাইওয়ানে ছিল সামরিক এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে তাইওয়ান। ২০২২ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সে সময়কার হাউস স্পিকার ন্যানসি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। তাইওয়ান প্রশ্নে চীন কোনো আপস করতে রাজি নয়।
এদিকে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র।