চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চল যুক্ত করে আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে ইরান। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের নিশানা ব্যাহত করতে এই মহড়া চালানো হয়েছে বলে শুক্রবার ইরান জানিয়েছে। খবর এএফপির।
পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ইরান সীমান্তে হামলা চালানোর পর আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়ার এই খবর দিয়েছে ইরান। দুইদিন আগে পাকিস্তানের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে জইশ আল-আদল নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান। এর পাল্টায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ওই হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হওয়ার কথা জানায় তেহরান।
পাল্টাপাল্টি এই হামলা ছিল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের একে অপরের সীমান্তে ঢুকে সামরিক হামলার সবচেয়ে বড় ঘটনা। এর মধ্য দিয়ে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরির ঝুঁকি তৈরি হয়।
ইরানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রেস টিভির খবরে বলা হয়, ‘ইরানের বাহিনীগুলো সফলভাবে একটি নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। যাতে শত্রুপক্ষের টার্গেটকে রুখে দেওয়া এবং সেটাকে নিশানা করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুইদিনের এই মহড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের আবাদান থেকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্বের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের চাহবাহার পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছে।
এই মহড়ায় ইরানের সেনাবাহিনীর বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী, মহাকাশ বাহিনী এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) নৌবাহিনী অংশ নেয় বলে প্রেস টিভি জানিয়েছে।
ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে এর আগেও উত্তেজনার ইতিহাস রয়েছে। তবে এবারের পাল্টাপাল্টি হামলার পর দুই দেশই উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।