পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার যে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির শাস্তি কার্যকর করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। তারেক রহমানও একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার বিষয়েও সরকার উপযুক্ত সময়ে পদক্ষেপ নেবে। আজ বুধবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সারাহ কুকের সঙ্গে তারেক রহমান প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আমাদের সরকার যে কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামির শাস্তি কার্যকর করতে চায়। তারেক রহমানকে উপযুক্ত সময়ে সরকার তার শাস্তি কার্যকর করার জন্য যা যা করার সেটা করবে।
যারা বৈধভাবে (যুক্তরাজ্যে) থাকেন, তাদের অনেকের পরিবার নিতে গিয়ে বেগ পোহানোর বিষয়টি নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেগুলো যেন সহজ হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে অনেকে অবৈধভাবে আছে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য সবসময়ই বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধুরাষ্ট্র। আজও হাইকমিশনারের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, জিডিপিতে করের অনুপাত বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে জিডিপিতে ট্যাক্সের অনুপাত অত্যন্ত নিম্ন। উপমহাদেশের মধ্যে প্রায় সর্বনিম্ন। যেখানে ইউরোপের দেশগুলোর জিডিপিতে ট্যাক্সের অনুপাত প্রায় ৩০ শতাংশ, সেখানে আমাদের এই অনুপাত সম্ভবত ১০ শতাংশেরও কম। এটা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং তারা সহযোগিতায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।