প্রসঙ্গ: উপজেলা নির্বাচন ও দলীয় প্রতীক

সম্পাদকীয়

উপজেলা নির্বাচন
ফাইল ছবি

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠনের পর থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই ধরা অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে শিগগিরই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাঁচ ধাপে ৪৮৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে তারা। প্রথম ধাপের নির্বাচন আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

২০১৫ সালে স্থানীয় সরকারসংক্রান্ত একটি নতুন আইন প্রণয়নের পর থেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন শুরু হয়। এর আগে স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী দিতে পারত না। তবে তারা প্রার্থীদের সমর্থন দিতে পারত। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়েই অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। আইন প্রণয়নের পর থেকে এবারই প্রথম দলটি দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২২ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি বৈঠকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রতীক নৌকা বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে।

আমরা এই সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানাই, কেননা নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় অংশগ্রহণমূলক ভোটের নিশ্চয়তার পাশাপাশি জনপ্রিয়তার বিচারে এগিয়ে থাকা নেতারাই ভোটে জিতে আসবেন। নির্বাচনকে সর্বজনীন করার জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ থেকে ক্ষমতাসীনদের সরে আসার ফলে সঠিক নেতৃত্ব উঠে আসবে বলেও আমরা মনে করি। তবে একই দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় একে অপরের ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়াতে পারেন, যা ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো ঘরোয়া বিভক্তি বাড়িয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

শেয়ার করুন