দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরাতে চায় ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে চায় ঢাকা। এ ব্যাপারে ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার ও কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। পরে বিকালে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

universel cardiac hospital

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডায় মৃত্যুদণ্ড নেই, সেটি একটি অসুবিধা বলে আমাকে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। আমি দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। হাইকমিশনার বলেছেন, তিনি বিষয়টি তাদের সরকারকে জানাবেন।

সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিদেশে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় কানাডা থেকে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক বছর ধরে জোর তৎপরতা চলছে।

হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আরও অভিবাসী নেওয়ার জন্য ‘প্রিফারেন্সিয়াল’ ব্যবস্থা গ্রহণ; বিশেষ করে কৃষিখাতে নেওয়ার জন্য এবং এ দেশের শিক্ষার্থীদেরকে কানাডার স্টুডেন্টস ডিরেক্ট স্কিমের (এসডিএস) অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন মন্ত্রী।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডেনমার্কের দ্বিতীয় উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশ। তারা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ডেনমার্কের সঙ্গে কাজ করছি। আগামীতেও এই বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনগুলোতে ‘ড্যানিশ ইনভেস্টমেন্ট’ বৃদ্ধির বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

শ্রম আইনের মামলার জামিনের পর ড. ইউনূসের দেওয়া বক্তব্য- ‘মামলা শ্রমিকরা করেনি, সরকার করেছে’, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যথেষ্ট সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে বলছি, তিনি যা বলেছেন তা সঠিক নয়। ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের পাওনা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে পারেনি, তারা বঞ্চিত হয়েছে। এতে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরাই মামলা করেছে। এ জন্য শ্রম অধিদপ্তরের একটি অনুমোদন লাগে, সেটি তারা নিয়েছে। বিস্তারিত আইনি ব্যাখ্যা আইন মন্ত্রণালয় দেবে।’

শেয়ার করুন