পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। ওই সফরের সময় ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত তিস্তা চুক্তির পাশাপাশি সীমান্ত সমস্যা ও ভিসার বিষয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন আজ বৃহস্পতিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সংযুক্তি, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ।
সেহেলী সাবরীন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশা করছি।
তিস্তায় চীনের প্রকল্প প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, চীনের প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কি না, তা এখন বলা যাচ্ছে না। কারণ, অ্যাজেন্ডাগুলো নিয়ে এখনো কাজ হচ্ছে। যদি ভারত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।
বাংলাদেশ বিনা মাশুলে ভারতকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ভারত যাতে চট্টগ্রাম ও মোংলাবন্দর ব্যবহার করতে পারে, সে জন্য ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল একটি স্থায়ী আদেশ জারি করে, যার ফলে ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এ ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব শর্ত প্রযোজ্য হয়, সেসব বিষয় বিবেচনা করেই এই চুক্তি করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের আসন্ন ভারত সফরে সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা হবে উল্লেখ করে মুখপাত্র বলেন, যে কোনো দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সীমান্তের সমস্যা ও ভিসা নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে সীমান্ত ও ভিসা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।