যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য কায়রো যেতে পারেন হামাসপ্রধান

মত ও পথ ডেস্ক

হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া
ইসমাইল হানিয়া। ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া মিসরে যেতে পারেন। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার তিনি কায়রোয় যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস। নতুন যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মধ্যস্থতাকারীরা প্যারিসে আলোচনার পর এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন।

মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসর গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসের একটি সূত্র এএফপিকে বলেছে, এ যুদ্ধবিরতির জন্য তিন ধাপের পরিকল্পনা আছে। শুরুতে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে গাজা উপত্যকার মানুষদের জন্য আরও বেশি করে ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ওই পর্যায়ে শুধু হামাসের হাতে আটক থাকা নারী, শিশু ও ষাটোর্ধ্ব অসুস্থ ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েল থেকে কিছুসংখ্যক ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস। পাশাপাশি সংগঠনটির সদস্যরা সীমান্ত পেরিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামলা চালান। ইসরায়েল জানিয়েছে, ওই দিনের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এরই মধ্যে কিছুসংখ্যক জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, এখনো ১৩২ জন হামাসের হাতে জিম্মি আছেন।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বাহিনী। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলমান এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৯০০-এর বেশি ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

শেয়ার করুন