এবার বিশ্বজুড়ে সমাদৃত ইন্টারন্যাশনাল অ্যানথেম অ্যাওয়ার্ড জিতল বাংলাদেশের শিশুদের জন্য নির্মিত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর। বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তির বার্তার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখায় সিসিমপুরকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ‘ফিল্ম, ভিডিও, টেলিভিশন এবং শো’ ক্যাটাগরিতে সিসিমপুর এ পুরস্কার পায়।
বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মিত হওয়া সিসিমপুরের এই এপিসোডগুলোতে শিশুদের প্রিয় হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর পাশাপাশি নতুন চরিত্র ‘জুলিয়াকে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অটিজম আক্রান্ত শিশু জুলিয়ার অন্তর্ভুক্তি এই পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে জানান আয়োজকেরা। ইউএসএআইডি/বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় গত ১৯ বছর ধরে নির্মিত হচ্ছে শিশুতোষ এই টেলিভিশন অনুষ্ঠান সিসিমপুর।
২০২১ সাল থেকে অর্থপূর্ণ কাজের মাধ্যমে সমাজ ও বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ ডিজিটাল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সময় ৩০ জানুয়ারি, বুধবার রাতে তৃতীয় বার্ষিক অ্যানথেম অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় ৪৪টি দেশের প্রায় ২ হাজার অনুষ্ঠান ও কার্যক্রমের মধ্য থেকে বিজয়ী হয় বাংলাদেশের সিসিমপুর।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ছোটদের অস্কারখ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল সিসিমপুর। তারও আগে ২০১০ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত জরিপে সিসিমপুর শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে সেরা এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল।
২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সিসেমি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ ‘সিসিমপুর’।
সম্মানজনক অ্যানথেম অ্যাওয়ার্ড জয়লাভের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএসএআইডি’র সিসিমপুর প্রকল্প-প্রধান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ভীষণ আনন্দের সংবাদ। অ্যানথেম অ্যাওয়ার্ড অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যা আমাদের ভবিষ্যতের কাজকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শিক্ষা এবং তাদের শৈশবকে বিকশিত, আনন্দময় ও মজাদার করতে ১৯ বছর যাবত সিসিমপুর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। আমি মনে করি এই সাফল্য শুধু আমাদের একার নয়। আমাদের নির্মাণ সহযোগী, সম্প্রচার সহযোগী, লেখক, আঁকিয়ে, পাপেটিয়ার, কলাকুশলী এবং আমাদের দেশের অগণিত শিশুরা এই সাফল্যের অংশীদার।