বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৪৪ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিজিপির আহত সদস্যসহ ৪৪ জন সীমান্ত অতিক্রম করে এপারে এসে আশ্রয় নেন বলে বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫৮ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন। রোববার সকালে ১৪ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে এসে এপারে আশ্রয় নেন। তাদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) হেফাজতে আছে।
তবে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে। ওই ক্যাম্পের বিজিপির কিছু সদস্য বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের সংখ্যা ৪০ জনের মতো হতে পারে বলে শোনা গেছে। তবে নিশ্চিত করে এখনও বলা যাচ্ছে না।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পক্ষে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটার পর থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তের ওপার থেকে তুমুল গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী হেলিকপ্টারে করে আরাকান আর্মির ক্যাম্পে হামলা চালালে গোলাগুলির শব্দ কমে আসে।
সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, মিয়ানমারের বাহিনীর সদস্যদের বিজিবির তুমব্রু সীমান্তচৌকিতে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেছেন, সীমান্তে বিজিবি ও পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে।