ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। শেষ ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের জানাও হয়ে গিয়েছিল, শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ সেই ভারত। তাই তো দলের সেরা একাদশের ৯ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রেখে দল সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটু।
হতাশ করেননি প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পাওয়া মেয়েরা। দুর্দান্ত খেলে রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড় দিয়েই বাংলাদেশ ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভুটানকে।
মঙ্গলবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১৮ মিনিটে। ভুটানের গোলমুখে তৈরি হওয়া জটলার এক পর্যায়ে বল চলে যায় ফরোয়ার্ড নুসরাত জাহান মিতুর পায়ে। তিনি কোনো ভুল করেননি, ঠান্ডা মাথায় ডান পায়ের শটে দলকে এগিয়ে দেন। ভুটান গোলরক্ষক দীক্ষা রাই ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি। উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ শিবির (১-০)।
৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাশে। নুসরাত জাহান মিতুর কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ঐশী খাতুন। ভুটানের গোলরক্ষক দীক্ষার মাথার ওপর দিয়ে জালে প্রবেশ করে। ৫৭ মিনিটে তৃতীয় গোল করে স্বাগতিক মেয়েরা। ডান প্রান্ত দিয়ে ভুটানের ডিফেন্ডার নিমা সেলদনকে কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন ঐশী। তার গড়ানো ক্রসে পা লাগিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তৃষ্ণা রানী।
৬৩ মিনিটে চতুর্থ গোল পায় বাংলাশে। ভুটান গোলরক্ষক দীক্ষার গোলকিক সতীর্থ ডিফেন্ডার শেন্ডু শেরিংকে দিলেও তিনি ধরতে পারেননি। শেন্ডু ব্যাকপাস দেন দীক্ষাকে। কিন্তু বলের গতি কম থাকায় ঐশী বলের নিয়ন্ত্রণ নেন। গড়ানো শটে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তিন বছর আগেই হওয়া টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
টানা তিন ম্যাচ হেরে শূন্য হাতে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো ভুটানের সেময়েরা। ৩ ম্যাচে ১৫ গোল খেয়েছে ভুটান। প্রতিপক্ষের জালে কোনো বল পাঠাতে পারেনি তারা।