বিদ্রোহীদের কাছে কাচিন রাজ্যেও দুটি চৌকি হারিয়েছে জান্তা বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের হপাকান্ত ও মানসি শহরে সামরিক বাহিনীর দুটি চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীগোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ)।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কেআইএ জানিয়েছে, তাদের ও পিডিএফের যৌথ হামলায় গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ দুটি চৌকির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।

মিয়ানমারে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এনইউজি) সামরিক শাখা পিডিএফ। এই পিডিএফ ও কেআইএর সামরিক শাখা ব্রিগেড-৯ এর যোদ্ধারা শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) হপাকান্ত-কামাইং সড়কের লোন খিন শহরে সামরিক বাহিনীর একটি চৌকিতে হামলা চালান। পরদিন চৌকিটি তারা দখল করেন।

লোন খিন শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘নাম তিন’ নামের ওই চৌকিতে থাকা জান্তা সেনাদের কয়েক সপ্তাহ ধরে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন বিদ্রোহীরা। সেনারা চৌকি থেকে বের হতে পারছিলেন না। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও আনা-নেওয়া করতে পারছিলেন না সেনা সদস্যরা। তাদের এমন দুর্বল অবস্থার মধ্যেই চৌকিটি দখল করে নেন বিদ্রোহীরা।

কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বুর বরাত দিয়ে কাচিনের গণমাধ্যম বলছে, জাতিগত সশস্ত্র এই গোষ্ঠী ও পিডিএফের যোদ্ধারা গত ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁড়িতে আক্রমণ করে এবং পরের দিন সকাল ৭ টার দিকে সেটির দখল নেয়। তবে চৌকি দুটি দখলের সময় কতজন নিহত হয়েছেন, তা জানায়নি কেআইএ। তবে গোষ্ঠীটির কয়েকটি সূত্র ও স্থানীয় মানুষেরা জানিয়েছেন, চৌকি নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, কাচিনভিত্তিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ভামো অঞ্চলের মানসি শহরে জান্তা বাহিনীর আরেকটি চৌকি দখল করেছেন কেআইএ ও পিডিএফ সদস্যরা। আগের দিন ১ ফেব্রুয়ারি ওই চৌকিতে হামলা চালিয়েছিলেন তারা। দুটি চৌকিতে হামলা চালাতে কামানের গোলা ও ড্রোন ব্যবহার করেছে বিদ্রোহীরা। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি কাচিনের হপাকান্ত শহরে একটি পুলিশ কার্যালয় ও সামরিক বাহিনীর দুটি চৌকি দখল করে কেআইএ ও পিডিএফ।

মঙ্গলবার (৬ ফ্রেবুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানায়, রাখাইনের ম্রাউক ইউ ও কিয়াকতাও শহরে জান্তা বাহিনীর আরও দুটি ব্যাটালিয়নের সদরদপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সদরদপ্তর দখলের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে মিয়ানমার জান্তার অনেক সৈন্য হতাহত হন।

সূত্র: ইরাবতী

শেয়ার করুন