জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে জঙ্গলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার প্রধান মাস্টারমাইন্ড মামুনুর রশীদ মামুনকে আটক করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এছাড়া ধর্ষণের অন্যতম সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আলোচিত এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মামুন দুই নম্বর এবং মুরাদ তিন নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। এই দুইজনের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত সবাই আটক হলেন।
একইদিন রাতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকা এ তথ্য জানান।
গত শনিবার রাতে জাবিতে এই ঘটনার পর চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনার একদিন পর (রোববার) আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন মামুন ও মুরাদ। তাকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৃথক পৃথক অভিযান চালালেও তাকে আটক করতে পারছিল না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মামুনুর রশীদ মামুন আগে থেকে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর পূর্বপরিচিত। ঘটনার কিছুদিন আগে ভুক্তভোগীর স্বামীকে ফোন করে মামুন জানান, সাভারে তার থাকার জায়গা নেই। তাই কিছুদিন তার বাসায় থাকতে চান। সরল বিশ্বাসে তাকে থাকতেও দেন। ঘটনার দিন মামুন ভুক্তভোগীর স্বামীকে ফোনে বলেন, ‘আমার জাবি হলে মোস্তাফিজ নামে এক বড় ভাই থাকার ব্যবস্থা করেছে। আপনি দ্রুত জাবিতে আসেন।’ আসার পর তার মোবাইল দিয়ে কৌশলে স্ত্রীকে ক্যাম্পাসে ডেকে আনেন। পরে মীর মশাররফ হোসেন হলে আটকে রেখে ভুক্তভোগীর স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। পরে অভিযুক্ত চারজনকে ক্যাম্পাসের কয়েকজন পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। রাতেই ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং রোববার মামলা হলে চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে জাবি হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুরসহ চারজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য আসামিরা হলেন- সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।