শেখ হাসিনাকে নিয়ে এশিয়ার নারীদের গর্ব করা উচিত: দ্রৌপদী মুর্মু

নিজস্ব প্রতিবেদক

টানা চতুর্থসহ মোট পঞ্চমবার সরকার গঠন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেছেন, যোগ্যতা ও নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের গর্ব করা উচিত। আজ শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লির প্রেসিডেন্ট ভবনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব কথা বলেন দ্রৌপদী মুর্মু।

তিন দিনের সফরে গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লি পৌঁছান হাছান মাহমুদ। প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে শুক্রবার তিনি দেশটির ১৫তম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আন্তরিক পরিবেশে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তাঁকে (দ্রৌপদী) আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং টানা চারবারসহ পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও তিনি সহমত পোষণ করেন।’

universel cardiac hospital

হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাঁকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন– জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেন নারীকে দেখতে পাই না। দেখতে চাই। ভারতের রাষ্ট্রপতিও প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে অতীতের মতোই ভারত সবসময় থাকবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দিল্লির নতুন পার্লামেন্ট ভবনে এ সাক্ষাতে দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা। রাজ্যসভার লিডার অব দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে পীযূষ গয়ালের সঙ্গেও পৃথকভাবে বৈঠক করেন হাছান মাহমুদ এবং দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রত্যাহার, বিশেষ করে রমজান মাসে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য পীযূষ গয়ালকে অনুরোধ করেন।

পরে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ভারত থেকে যেসব পচনশীল দ্রব্য আমরা আমদানি করি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি নেওয়ার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছি। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন