পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েও এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিনভর ভোটগ্রহণ হয়েছে। গতকাল ভোটগণনার শেষ না হতেই নওয়াজ শরিফের পিএমএন-এল জোট গঠনের জন্য উদ্যোগী হয়। আজ শনিবার সকালে পিপিপির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নওয়াজ। কিন্তু পিটিআই বলে আসছিল তারা এককভাবে জয়ী হতে চলেছে। শুক্রবার রাতে ইমরান খানের ভাষণেও এককভাবে জয়ের কথা বলা হয়। কিন্তু শেষমেষ শনিবার দুপুরে এসে তারাও জোট নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বলে জানায়।
পিটিআই চেয়ারম্যান গহর খান এবং আসাদ কাইসার ও আমী মুহাম্মাদ খানসহ শীর্ষ নেতারা জোট গঠন সম্পর্কিত বৈঠকে থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার গঠনে মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হবে সরকার গঠনের রূপরেখা নিয়ে। তবে পিএমএল-এন ও পিপিপির সঙ্গে কোনো প্রকার জোটের আলোচনা হচ্ছে না বলে জিও টিভিকে বলেছেন পিটিআিই চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে পিএমএল-এন ও পিপিপি জোটে সম্মত হয়েছে জানা গেছে। নওয়াজ শরিফ আজ শনিবার সকালে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করে তাদেরকে একত্রে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মোহসিন নাকভির বাসভবনে পিপিপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন শাহবাজ শরিফ। সেখানেও নওয়াজ শরিফের একত্রে কাজ করার বার্তাই তুলে ধরেন বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে জিও টিভি।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫টি আসনের মধ্যে ২৫০ আসনের ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পিএমএলএন ৭১ আসনে, পিপিপি ৫৩ আসনে ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন। সরকারি ফল মোতাবেক পিটিআই বা যেকোনো দলকেই সরকার গঠন করতে হলে জোটের পথে আগাতে হবে। পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট গঠন চূড়ান্ত হয়ে গেলে সরকার গঠন না করে বিরোধী দল হিসেবেও থাকতে হতে পারে অর্থাৎ ক্ষমতার মসনদ অধরাই রয়ে যেতে পারে ইমরানের দল পিটিআইয়ের।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট গ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। কোনো দলের সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।