শেষ হয়েছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার এ পরীক্ষা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে পারে।
তিনি জানান, এবার এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আজ শনিবার ফলাফল সংক্রান্ত সবকিছু প্রস্তুত করা হবে।
এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্র ছিল পাঁচটি, ঢাকার বাইরে ১৪টি। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে পাঁচ হাজার ৩৮০টি আসন এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট ছয় হাজার ২৯৫টি আসনের বিপরীতে এবার এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ সেশনে মোট আসন রয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮০টি। সে হিসাবে প্রায় ১৯ জন আসনপ্রতি লড়বে। আর বেসরকারি মেডিকেলে আসন রয়েছে ছয় হাজার ১৬৮টি। সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৫৪৮টি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে আসনপ্রতি লড়ছেন প্রায় ৯ জন শিক্ষার্থী।
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের জন্য তিনবার সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সব কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।