পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষের পথে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন শুক্রবার ২২৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত ও অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয় পেয়েছেন। নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ জয় পেয়েছে ৬৪টি আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জিতেছে ৫০টি আসন। আর অন্যান্য দলগুলো জিতেছে ২০টি আসন।
ইমরান খানের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও তাদের সরকার গঠন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি জোট গঠন করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নওয়াজ শরীফ ও মুসলিম লীগের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে লাহোরে যাচ্ছেন পিপিপির দুই শীর্ষ নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো এবং আসিফ আলী জারদারি।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন নওয়াজ শরীফ। এ ভাষণে তিনি জানান, জাতীয় পরিষদের দল হিসেবে তারা সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন। যদিও ওই সময় তিনি জানান সরকার গঠন করতে হলে তাকে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে।
পিটিআই জানিয়েছে, নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ফলে তারাই সরকার গঠন করতে পারবে। যদি তাদের টপকে অন্য কোনো দলকে সকার গঠনের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে এটি সংবিধান পরিপন্থি হবে।
এছাড়া পিটিআই দাবি করেছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। গতকাল বুথ থেকে এক রকম ফল আনা হলেও; আজ সেটি বদলে অন্য ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
দলটি ঘোষণা দিয়েছে, এই কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হবে তারা।
পিটিআইয়ের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজেদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে আজ শনিবার— ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে আদিয়ালা জেলে যাবে তাদের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে ইমরানের সঙ্গে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে পরামর্শ করা হবে।
এদিকে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর যদি এটি চলতে থাকে তাহলে তা পুরো দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাব ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আলজাজিরা