নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় জোট সরকার গঠনে পাকিস্তানে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এর মাঝেই আজ শনিবার পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির অরাজকতা আর মেরুকরণের বৃত্ত থেকে দেশকে বের করে আনতে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর ডন, এএফপি ও জিও নিউজের।
মেরুকরণের রাজনীতি ‘প্রগতিশীল দেশ’ পাকিস্তানের সঙ্গে যায় না উল্লেখ করে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির বলেছেন, নির্বাচন মানে একজনের জয় আর অপরজনের পরাজয় নয়। নির্বাচন জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠার একটি মাধ্যম। তাই দেশের শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল রাজনৈতিক দলকে সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে সেনাবাহিনী-সমর্থিত নওয়াজ শরিফের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজই (পিএমএল-এন) জয়ী হতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করা হলেও ঘটেছে তার উল্টো। শুক্রবার রাতে দেশটির সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও কারাবন্দী ইমরান খান নির্বাচনে নিজ নিজ দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বলে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দাবি করেছেন।
ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনী ফলে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২টি আসনে জয় পেয়েছেন। আর নওয়াজের পিএমএল-এন ৭১টি, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৫৪টি, জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) ৩টি ও অন্যরা ৩৩টি আসনে জয় পেয়েছেন।