প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতীয় সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বাহিনীটিকে আরও স্মার্ট ও আধুনিক করতে কাজ করছে সরকার। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের সফিপুরের আনসার-ভিডিপির সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সকাল ১০টার পর গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ছাদখোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। ঘুরে দেখেন বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের জমায়েত।
প্রধানমন্ত্রীকে প্যারেডের মাধ্যমে সালাম জানায় আনসারের বিভিন্ন ইউনিট। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় বাহিনীতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ১৮০ জনকে আনসার পদক পরিয়ে দেন সরকারপ্রধান।
আনসার একাডেমীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে সমাজকে রক্ষায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই বাহিনী স্মার্ট ও আধুনিক হয়ে গড়ে উঠবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
এ সময় এই বাহিনীর জন্য একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছে সরকার। সহযোগিত করছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো সক্ষমতা আছে বাংলাদেশর। জননিরাপত্তা রক্ষায় যেকোনো অশুভ তৎপরতা মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে।
এসময় আনসার বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি প্রতিহত করে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা।
সমাবেশে অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম উদ্দিন, আনসার ও ভিডিপি একাডেমির কমান্ড্যান্ট মো. নূরুল হাসান ফরিদী, বাহিনীর উপমহাপরিচালক, অন্যান্য কর্মকর্তা ও আনসার- ভিডিপির সদস্যরা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, সিনিয়র সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা। অপরদিকে কূটনৈতিক ব্যক্তি, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা আমন্ত্রিত হয়েছেন।