অপ্রদর্শিত টাকা প্রদর্শনের বিষয়টি আমরা পর্যালোচনা করছি: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ফাইল ছবি

অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন করার সুযোগের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শন করার সুযোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ জিনিসটি আমরা পর্যালোচনা করছি। শুধু যে কালো টাকা নিয়ে তা নয়, গোটা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই পর্যালোচনা চলছে।

তিনি বলেন, এই পর্যালোচনায় প্রাথমিক যে লক্ষণ দেখছি তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, আমরা বর্তমান যে অর্থনৈতিক সংকট পরিস্থিতি তা কাটিয়ে উন্নয়নের দিকে ফিরতে শুরু করেছি। আরও কিছুদিন গেলে আমরা পুরোপুরি একটি পিকচার পাবো। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করছি।

নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিকের এক সম্পূরক প্রশ্নে উল্লেখ করেন, সরকারি ও বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমরা পর্যালোচনা করছি। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি, একটা উন্নতির ছাপ দেখতে পাচ্ছি। আরও অনেক কাজ করতে হবে। সেগুলো করার পর আমরা একটি আইডিয়া দিতে পারবো।

এদিন সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তবে কর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২৩ হাজার ২২৭ দশমিক ১৯ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর (২০২৩-২৪) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ (অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা) ১৩ হাজার ৬১৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ৪৩ হাজার ৬১৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) কর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশ) এক লাখ ৬৫ হাজার ৬২৯ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা এবং স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে এক হাজার ৬২৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন