বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে ছিটকে ফেলে প্যারিস অলিম্পিকের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। বাঁচামরার এই লড়াইয়ে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনার যুবারা।
এর আগের দুই মৌসুমের ব্রাজিল স্বর্ণপদক জিতেছিল। যে কারণে এবার তাদের সামনে ছিল হ্যাটট্রিক করার সুযোগ। অথচ এবার তারা অলিম্পিকের মূলপর্বে জায়গাই করে নিতে পারলো না। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম টানা দুইবারের সোনাজয়ীরা চূড়ান্ত পর্বে আসার আগেই ছিটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো।
ফ্রান্সে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার পথে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচটি ছিল অঘোষিত ফাইনাল। তবে ব্রাজিল ড্র করতে পারলেও মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করতে পারতো। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটি জয়ের বিকল্প ছিল না। কারণ, আগের দুই ম্যাচে এক হার আর এক জয়ে ব্রাজিলের পয়েন্ট ছিল ৩।
আর আগের দুই ম্যাচেই ড্র করা আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ছিল ২। যে কারণে এই ম্যাচে কোনোমতে ড্র করতে পারলেও চূড়ান্তপর্বে উঠে যেতো ব্রাজিল। তখন ব্রাজিলের পয়েন্ট হতো ৪, আর আর্জেন্টিনার পয়েন্ট হতো ৩। তবে সেটি আর হয়নি। অবশেষে ৫ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টাইন যুবারাই উঠেছে মূলপর্বে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ জমজমাট লড়াই। এই ম্যাচও তার ব্যতিক্রম হলোা না। দুর্দান্ত লড়াই হলো। পায়ের খেলায় সমানে সমানে থাকলেও মাথার খেলায় হেরে যায় ব্রাজিল। আর্জেন্টাইন তারকা লুসিয়ানা গনদোর হেডে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় সেলেসাওদের। শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াইয়ে আর্জেন্টিনাকে জয়সূচক গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৭৭ মিনিট পর্যন্ত।
এর আগে মোট ৪ বার অলিম্পিকের মেডেল জিতেছিল ব্রাজিল। অপরদিকে ২০০৪ ও ২০০৮ সালে স্বর্ণপদক জেতে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচ শেষে গনদো বলেন, ‘আমরা এটা প্রাপ্য। আমরা যোগ্যতার দিয়ে খেলে একটি ম্যাচও হারিনি। আমরা লড়াই করেছি। এই গোলের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা এটি পেয়েছি।’
অপরদিকে ম্যাচ হেরে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার আন্দ্রে সান্তোস বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ অনুভূতি। আমরা এর জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পুরো টুর্নামেন্টে বল ধরে রাখতে লড়াই করেছি। আমরা যেমন আশা করেছিলাম তেমন হয়নি।’
সবাইকে তাক লাগিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার থেকে আর্জেন্টিনার সঙ্গে প্যারিস অলিম্পিকের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে প্যারাগুয়ে। ব্রাজিলের কষ্টের ভাগাভাগি করছে ভেনিজুয়েলা।