সরকারি কর্মচারিদেরকে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, সরকারি কর্মচারিদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ের নয়। দক্ষতা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সাথে সাধারণ মানুষকে সেবা প্রদান করে তাদের আস্থা ও শ্রদ্ধা অর্জন করতে হবে।

রোববার রাজধানীর স্থাপত্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্থাপত্য অধিদপ্তর’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন।

universel cardiac hospital

মন্ত্রী বলেন, স্থপতি এবং প্রকৌশলীগণ সমাজের সবচেয়ে মেধাবী সন্তান। নিজস্ব মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে কাজ করলে মানুষের আস্থা অর্জন সহজ হবে। সরকারের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের তুলনায় স্থপতিদের সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা কম। এরপরও অনেক সময় কাজে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ পাওয়া যায়। অপর্যাপ্ত জনবল এবং কাজের পরিধি বৃদ্ধির কারণে এই দীর্ঘসূত্রিতা হতে পারে। এক্ষেত্রে অহেতুক বিলম্ব পরিহার করে যথাশীঘ্র দ্রুত কাজ সম্পাদন করতে হবে।

দেশের জেলা পর্যায়ে স্থপতিদের কাজ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রকৌশলী, স্থপতি ও প্ল্যানার্সদের কাজের সাথে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সদিচ্ছার সমন্বয় ঘটলে দেশের অবকাঠামো খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব। রাজধানী ঢাকার বাইরে জেলা পর্যায়ে স্থপতিদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে এবং পরিকল্পিত উন্নয়নের স্বার্থে তা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ থেকে সুচারুরূপে কাজ করলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সহজ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে স্থাপত্য অধিদপ্তরের নিজস্ব অফিস ভবনের জন্য নকশা প্রণয়ন প্রতিযোগিতায় প্রথম ১০ জন স্থপতিকে পুরস্কৃত করা হয়। একই সাথে স্থাপত্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনাসভায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুর রহমান মিয়া পিএএ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আখতার ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসিসহ স্থাপত্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন