আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ‘স্বপ্নভঙ্গ’ অভিনেত্রীদের

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নিজেদের মনোনীত ৪৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (ফেব্রুয়ারি ১৪) বিকেলে গণভবন থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষিত সেই ৪৮ জনের মধ্যে নেই সংস্কৃতি অঙ্গনের কোনো তারকাশিল্পী বা অভিনেত্রীর নাম।

যদিও আওয়ামী লীগের ব্যানারে প্রার্থী হতে গতবারের মতো এবারও এসব শোবিজ তারকাদের অনেকে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে তাদের।

universel cardiac hospital

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র কেনেন অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনূর, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সোহানা সাবা, তানভিন সুইটি, মেহের আফরোজ শাওন ও জাকিয়া মুন।

তাদের মধ্যে প্রায় ১২ বছর আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। কিন্তু বুধবারের প্রকাশিত তালিকায় ঊর্মিলাসহ তাদের কারও নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে হিসেবে বলা যায়, ভালোবাসা দিবসে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো শোবিজ তারকাদের।

মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র কেনার পর প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী ঊর্মিলা জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মনোনয়ন পেলে সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজের পরিধিটা আরও লম্বা হবে তার। তাই তিনি এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।

মনোনয়নপত্র কিনে অভিনেত্রী সোহানা সাবা জানিয়েছিলেন, তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগপন্থি দেশপ্রেমিক। বাবার পথ ধরেই তিনি আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন। তাই এবার তিনিও আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চান।

বগুড়া জেলা থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন অপু বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে প্রার্থী হতে চান বলে জানিয়েছিলেন এ চিত্রনায়িকা।

একই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আরেক চিত্রনায়িকা নিপুণ বলেছিলেন, আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া আমিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত। প্রধানমন্ত্রী যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে আমার কথা চিন্তা করবেন।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রত্যাশী ১,৫৪৯ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে নারী আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। এতে দলটির আয় হয় ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন