ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে একটি রাষ্ট্র দিয়েছে: গণপূর্তমন্ত্রী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, একটি দেশের ৫৬ শতাংশ মানুষ যখন একই ভাষায় কথা বলে, তখন সেটিই তো ঐ দেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত। আমরা সেদিন দাবি করে ছিলাম বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হোক, কিন্তু সেটাতেও তারা রাজি ছিল না। তবে সেই না মানা বিষয়টি আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে। কেননা যারা সেসময় ভাষার জন্য শাহাদাৎবরণ করেছিলেন, সেই ভাষাশহীদদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে একটি রাষ্ট্র দিয়েছে। কেননা ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করেই আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদক্ষ নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পথে অগ্রসর হয়েছিলাম।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মুখের ভাষা ঊর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিয়ে বাংলা ভাষাকে বাঙালির জীবন চিরতরে মুছে দেওয়ার যে চক্রান্ত হয়েছিল, সেটি তীব্র আন্দোলনের মুখে ব্যর্থ হয়।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচায় পূর্ত ভবনের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির ৩৭তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের প্রকৌশলীরা এখন নাসাসহ বিশ্বের বড় বড় প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।

প্রকৌশলী সমিতির দাবি-দাওয়গুলো মধ্যে যেগুলো দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে বিবেচনা করা যায় তা বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন গণপূর্তমন্ত্রী।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা যদি তাদের কাজগুলো দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে করেন, তাহলে এরচেয়ে ভালো কিছু তো আর হতে পারে না। তেমনিভাবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার তাদের দুজনের একটাই পরিচয়, সেটি হলো তারা উভয়ই বাংলাদেশের নাগরিক। এদেশের কাছে তারা দায়বদ্ধ। বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়াতে আজ আমি মন্ত্রী হতে পেরেছি। বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়াতেই অনেকের জন্য চীফ ইঞ্জিনিয়ার, জেনারেল, সচিব হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, এটি মনে রেখে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটা করা গেলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

সমিতির সভাপতি মো. রায়হান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাউন্সিলের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ।

শেয়ার করুন