পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীরা অবশেষে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) অধীনে সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক হলফনামায় দেশটির নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন প্রস্তাব পাঠিয়েছেন প্রার্থীরা।
জানা গেছে, জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে ৮৯ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়া অ্যাসেম্বলিতে ৮৫ জন ও পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে ১০৬ ও সিন্ধুতে নয়জন হলফনামা জমা দিয়েছেন।
এই হলফনামা জমা দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে পিটিআই জাতীয় পরিষদে ৯৩ আসনে জয় পেয়েছে। যদিও দলটির তিন নেতা এখন পর্যন্ত হলফনামা জমা দেননি। তারা হলেন ওমর আইয়ুব খান, ব্যারিস্টার গহর আলী খান ও আলী আমিন। তাছড়া একজন প্রার্থীর প্রজ্ঞাপণ এখনও জারি করেনি কমিশন।
মূলত আন্তঃদলীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্যই এসআইসির সদস্য হওয়ার জন্য হলফনামা জমা দেননি আইয়ুব ও গহর আলী। অন্যদিকে আলী আমিনকে কেপির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নানা নাটকীয়তার পর জোট সরকার গঠনে চুক্তিতে পৌঁছেছে নওয়াজ-শাহবাজের পিএমএল-এন ও বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি। দীর্ঘ আলোচনার পরে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে তারা। উভয় দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারা ‘জাতির স্বার্থে’ আবারও জোট সরকার গঠন করছেন।
পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এখন সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এবং আমরা পরবর্তী সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছি।
সূত্র: ডন