বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে : পর্যটনমন্ত্রী

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারিধারায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

universel cardiac hospital

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমেই শক্তিশালী হয়েছে। যা গত কয়েক বছরে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও সংহতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ঐতিহাসিকভাবেই গভীর।

তিনি আরও বলেন, চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণেই আমরা দুই দেশ বহুমুখী কর্মকাণ্ড ও বিনিময়ে যুক্ত হয়েছি। পাশাপাশি একে অপরের বিপদের সময় সমর্থন নিয়ে পাশে দাঁড়াই। এখানে স্মরণযোগ্য যে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশ ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে একটি সার্চ এবং রেসকিউ টিম এবং চিকিৎসা সহায়তাসহ মানবিক সহায়তা প্রেরণ করেন। এটি আমাদের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সমর্থনের একটি প্রতীক মাত্র।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মানবিক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা এখন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করছি।

বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য ক্রমেই বাড়ছে উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, এটি ইতোমধ্যে এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমরা আশা করি নিকট ভবিষ্যতে এটি খুব দ্রুতই দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

শেয়ার করুন