ক্রীড়া বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের সাথে সংযোগ করে: গণপূর্তমন্ত্রী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ক্রীড়া বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের সাথে সংযোগ করে দেয়। ক্রীড়া হলো এমন একটি ব্যবস্থাপনা যেখানে মানুষে মানুষে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ক্রীড়াতে মুসলিম ক্রীড়া, হিন্দু ক্রীড়া, খ্রিষ্টান ক্রীড়া বলে কোনো বিভাজন নেই। এছাড়া বর্তমান সময়ে ক্রীড়া আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। কেননা, আমাদের তরুণ সমাজকে নানানভাবে দেশি-বিদেশি চক্র মাদকাসক্ত করে বিপথগামী করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, সেখান থেকে ক্রীড়া আমাদের সন্তানদেরকে ফিরিয়ে রেখে ভালো কাজে সম্পৃক্ত করবে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলাধূলা বন্ধ ছিল। এজন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না। এমনকি আমাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পরেও দুইবছর আমাদের একজন জ্যেষ্ঠ সহকর্মী সংসদ সদস্য ছিলেন, তার আমলেও সংস্থাটি সক্রিয় হয়নি। আমি ২০১১ সালে প্রথম সংসদ সদস্য হওয়ার পরে ২০১২ সালে ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটি গঠন করে এটিকে সক্রিয় করার চেষ্টা করি, যেটি প্রাণবন্ত সংগঠনে পরিণত হয়ে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, আজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়েরা ক্রিকেট, ফুটবল খেলে। শেখ রাসেল ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গতবছর আমাদের বাঞ্ছারামপুরের ক্ষুদে কন্যারা জাতীয় পর্যায়ে রানার্সআপ হয়েছে, সদরের কন্যারা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ হয়, যে নৌকা বাইচ প্রথম বছর যখন চালু করতে গেলাম, তখন প্রত্যেক মসজিদে মসজিদে ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল- নৌকা বাইচ হারাম, এই কাজটি ভালো নয়! কিন্তু সেদিনও কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ এই প্রতিযোগিতাটি প্রত্যক্ষ করেছিলো। এখনও প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই প্রতিযোগিতাটি প্রত্যক্ষ করে এবং মানুষ তৃপ্ত হয়।’

মন্ত্রী বলেন, এখানে হালাল হারাম তুলে যারা আমাদের আবহমান বাংলার যে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া রয়েছে, এটির প্রতি যারা বাধা সৃষ্টি করতে চায়- তারা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে এবং আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রাণবন্ত ক্রীড়া পরিবেশ আনতে সক্ষম হয়েছি।

জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী প্রমুখ।

শেয়ার করুন