ভারত-বাংলাদেশের ভিসা আরও সহজ হওয়া উচিত : হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভিসা সরলীকরণের ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তথা দেশটির ২০২৩ সালের জি২০ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন পররাষ্ট্রসচিব ছিলাম তখন পাঁচ লাখ ভিসা দেওয়া হচ্ছিল। এরপর কিছু সরলীকরণ করা হয় সেক্ষেত্রে ভিসার সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ লাখ করা হয়েছিল। এখন সেটা ২০ লাখে রয়েছে। আমার মনে হয় ভিসা সহজলভ্য হওয়া উচিত, যাতে পর্যটকদের কোনো রকম হয়রানির শিকার না হতে হয়, ভিসা পেতে বিলম্ব না হয়। বাংলাদেশের জন্য ভিসা বাড়ানোর জন্য প্রয়াস চলছে এবং তা হলে মানুষে মানুষে সংযোগ বৃদ্ধি পাবে।’

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কলকাতার নিউটাউনের একটা পাঁচ তারকা হোটেলে ‘ইন্দো বাংলা ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের’ (আইবিএফএ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভারত বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন শ্রিংলা।

শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত আরও বেশি সুরক্ষিত বলেও মনে করেন তিনি। তার অভিমত, ‘২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারে আসার পর থেকেই সন্ত্রাস দমনীতিতে জিরো টলারেন্স নেন। তার ফলে ভারতবিরোধী যতগুলো শক্তি আছে তাদের উৎখাত করেন। এর ফলে ভারতের সুরক্ষা বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সুরক্ষা কয়েকগুণ বেড়ে যায় এবং এটা আমাদের পক্ষে খুবই ফলদায়ক হয়েছে। এটা ভুললে চলবে না যে সুরক্ষা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এবং সেটা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের তরফ থেকেও বাংলাদেশকে সর্বতভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। আসলে এটা দুই তরফের বিষয়।’

দুই দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দার্জিলিং এলাকায় নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা করিডোর এবং যেটার সঙ্গে চারটে দেশের সীমান্ত রয়েছে। এখানকার নিরাপত্তা, উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।’

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে শ্রিংলা বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া’র (সাফটা) মাধ্যমে বাংলাদেশকে এখন যে মুক্তবাণিজ্যের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে-, ২০২৬ সালের পর থেকে সেটা শেষ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে এমন একটা চুক্তি করা দরকার যাতে দুই দেশেরই সুবিধা হয় এবং বাণিজ্যে অগ্রগতি আসে।’

যদিও দুই দেশের মধ্যে অমীমাংস তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এদিন কোনো মন্তব্য করতে চাননি সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

শেয়ার করুন