দুই বছর আগে ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন এবং সম্প্রতি রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির কারাগারে মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পাঁচ শতাধিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়াকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রায় ১০০টি সংস্থার ওপর নতুন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে ওয়াশিংটন।
এছাড়া রাশিয়ার জ্বালানি আয় আরও কমাতে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বাইডেন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলেন, তারা নিশ্চিত করবে পুতিনকে বিদেশে তার আগ্রাসন এবং দমন-পীড়নের জন্য আরও বেশি মূল্য দিতে হবে।
এ সপ্তাহে হোয়াইট হাউস বলেছে, আর্কটিক পেনাল কলোনিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর সমালোচক নাভালনির মৃত্যুর পর ‘বড়’ শাস্তি হিসেবে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় নাভালনির বিধবা স্ত্রী ইউলিয়া এবং কন্যা দাশার সঙ্গে দেখা করার পর বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, আমরা আগামীকাল (শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে যাচ্ছি। যিনি নাভালনির মৃত্যুর জন্য দায়ী।
এদিকে, ক্রেমলিন নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিন দায়ী এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পশ্চিমাদের নিন্দা করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি অ্যাডেইমো বৃহস্পতিবার বলেছেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ওইসব দেশও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ বজায় রাখতে চাইছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে শত শত নিষেধাজ্ঞা জারি করব। তবে মনে রাখতে হবে এসব পদক্ষেপের ক্ষেত্রে শুধু আমেরিকা নয়, মিত্র দেশগুলোরও অংশগ্রহণ থাকবে। রাশিয়াকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টায় ওয়াশিংটন তার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ১৩তম প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, দুই বছর সংঘাতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ২০০ সংস্থা এবং ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর পূর্তির ঠিক দুইদিন আগেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রাশিয়ার অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
সূত্র: আল জাজিরা