ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, রাফায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর আগে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ গাজা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা দেশের সামরিক বাহিনী মন্ত্রিসভাকে দিয়েছে। তবে তাদের সরিয়ে কোথায় নেওয়া হবে, তার কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
ফিলিস্তিনিদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার আগে রাফায় স্থল অভিযান চালানোর ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্তের উত্তরে রাফা অবস্থিত, যেখানে ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছে। নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে আক্রমণ করলে ইসরায়েল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধে জিতে যাবে।
ফিলিস্তিনিদের কোথায় নেওয়া হবে, তার বিস্তারিত পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া সোমবারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। এদিকে মিশর বলেছে, তারা সীমান্ত খুলে দেবে না।
গত বছর ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের ব্যাপক পাল্টা হামলায় গাজার বেশির ভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার বেশির ভাগ নারী ও শিশু। ইসরায়েল বলছে, তারা ১২ হাজার হামাস যোদ্ধা হত্যা করেছে।
যে এলাকায় মানুষজনের ইতোমধ্যে মানবিক সাহায্য প্রয়োজন, সে এলাকায় ইসরায়েলের আক্রমণের পরিকল্পনা আর বেসামরিক লোকদের দক্ষিণ গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার বলেছেন, গাজায় মানবিক সাহায্য এখনো ‘একেবারে অপর্যাপ্ত’ রয়ে গেছে। রাফায় ইসরায়েলি হামলা সেই প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, ‘শহরের ওপর পূর্ণ মাত্রায় ইসরায়েলি অভিযান যে শুধু সেখানে আশ্রয় নেওয়া দশ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনির জন্য ভীতিকর হবে, তাই না; এর ফলে ত্রাণ কর্মসূচি পুরোপুরি শেষ হয়ে যেতে পারে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, এপি, এএফপি