গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৮৭৮

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন থামছেই না। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলোকে উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মানবিক সহায়তাবাহী গাড়ি বহরও হামলার শিকার হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গাজার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ মানুষ অর্থাৎ ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার শিশুরা পানিশূন্যতার কারণে মারা যাচ্ছে এবং সেখানে যদি আরও সহায়তা না পৌঁছায় তবে আগামী দিন গুলোতে আরও হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ হাজার ৮৭৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭০ হাজার ২১৫ জন।

৩০ বছর আগে অসলো শান্তি চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনের সরকার কাঠামো তৈরি হয়েছিল, যার অধীনে ছিল পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম।

এই তিন অঞ্চল একসময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ফাতাহ এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর জোট ‘প্যালেস্টাইনিয়ান অথরিটির’ অধীনে ছিল, কিন্তু ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে চলে যায়।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।

এর আগে গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য অপেক্ষমান লোকজনের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকা আহতদের লোকজনকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন