জাতীয় বীমা দিবস আজ, ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ সেবা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বীমা
ফাইল ছবি

আজ ১ মার্চ, জাতীয় বীমা দিবস। প্রবর্তনের পর এবার পঞ্চমবারের মতো পালিত হবে জাতীয় এ দিবস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদানের স্মৃতি স্মরণীয় রাখতে ২০২০ সালে দিবসটি প্রবর্তন করে সরকার। প্রবর্তনের পর থেকে প্রতি বছর পহেলা মার্চ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জাতীয় বীমা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য— ‘করবো বীমা গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’।

এদিকে জাতীয় বীমা দিবসে এই খাতে নতুন সেবা ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ চালু হচ্ছে। জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার এই সেবা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও গ্রাহক লেভেলে এটি চালু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

ব্যাংক গ্রাহকদের কাছে বীমা পরিষেবা বিক্রির ব্যবস্থা ‘ব্যাংকস্যুরেন্স’ নামে পরিচিত। এখানে ব্যাংকগুলো কেবল করপোরেট প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবে। তারা নিজেদের গ্রাহকদের বীমা পলিসি সম্পর্কে জানাবে এবং আগ্রহী গ্রাহকদের কাছে সেগুলো বিক্রি করবে।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে দেশের কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কিছু শাখায় সেবাটি মিলবে। ধীরে ধীরে তাদের সব শাখায় এবং অন্যান্য ব্যাংকও ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা দেবে। ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা চালুর জন্য ইতোমধ্যে একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো করপোরেট এজেন্ট হিসেবে বিভিন্ন বীমাপণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

একটি ব্যাংক একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি জীবনবীমা ও তিনটি সাধারণ বীমার পণ্যসেবা বিক্রি করতে পারবে। যেসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম, তারাই শুধু এই সেবায় যুক্ত হতে পারবে। ব্যাংকগুলোকে বীমাপণ্য বিক্রির পর গ্রাহকের বীমা দাবি পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করতে হবে।

জানা গেছে, কয়েকটি দেশি—বিদেশি ব্যাংক ইতোমধ্যে নীতিমালা মেনে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়েছে।

এদিকে বীমাখাতে ‘ব্যাংকাস্যুরেন্স’ নামক নতুন এই সেবা চালু হওয়ায় এই খাতে সৃষ্ট আস্থার সংকট দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ব্যাংকিং খাত সরাসরি বীমাসেবায় যুক্ত হওয়ায় বীমা খাতের প্রচারণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।

এ বিষয়ে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হক বলেন, ব্যাংকে যারা আমানতধারী তারা এই বিষয়টাতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পাচ্ছেন। কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোও কাজ করছে। ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা চালু হওয়ায় পরিচালন ব্যয় কমবে এবং প্রচারণার জায়গাটাও তৈরি হবে। একইসঙ্গে এখন যে আস্থার সংকট আছে সেটাও দুর হবে।

শেয়ার করুন