এক বছরে দেশে ভোটার বেড়েছে ২৬ লাখ। পুরুষ ও নারী ভোটারের পার্থক্যও বেড়েছে। ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, চলতি বছর হালনাগাদ শেষে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গত বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়, যা সম্পন্ন হয় চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে। এতে ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫০ জনে। আর ২০২৩ সালের মার্চে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। অর্থাৎ এক বছরে ভোটার বেড়েছে ২৬ লাখ ২৪ হাজার ১০ জন।
অন্যদিকে এক বছরে পুরুষ ও নারী ভোটারের ব্যবধানও বেড়েছে। বেড়েছে হিজড়া ভোটারও। বর্তমানে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ১৩৭ জন, নারী পাঁচ কোটি ৯৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ৯২৪ জন। গত বছর পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ছয় কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪, নারী পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ এবং হিজড়া ৮৩৭।
আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ জানুয়ারি ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করার কথা। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এ তারিখ পিছিয়ে ২১ জানুয়ারি নির্ধারণ করে কমিশন। এর আগে সংসদ নির্বাচনের কারণে ২০১৯ সালেও কিছুটা পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের অংশ হিসেবে ২০২২ সালে ১৫-১৭ বছর বয়সী এবং ভোটারযোগ্য বাদ পড়া নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করে কমিশন। এর মধ্যে ২০২৩ সালে যুক্ত হওয়া নতুন ভোটাররা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ছয় কোটি সাত লাখ ৬৯ হাজার ৭৪১ জন, নারী পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ এবং হিজড়া ভোটার ৮৪৯ জন।
আগামীকাল ২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। এক্ষেত্রে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো নতুন ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।