ধানমন্ডির টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভাঙল রাজউক, ১২টি সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের আলোচিত গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ছাদে গড়ে তোলা রুফটপ রেস্তোরাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একইসঙ্গে অনুমোদনহীন ভাবে গড়ে তোলা ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় ওই ভবনে অভিযান পরিচালনা শুরু করে রাজউক। পরে ভবনটির ছাদে নকশা বহির্ভূতভাবে গড়ে তোলা ‘রেট্রো লাইভ কিচেন’ নামের রুফটপ রেস্তোরাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ১২টি রেস্তোরাঁও সিলগালা করা হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে ১টি রেস্তোরাঁকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভবনটিতে অভিযান পরিচালনাকারী রাজউকের জোন ৩-এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার।

তিনি বলেন, এই ভবনটি রাজউক থেকে অফিস করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজউকের নকশায় স্পষ্টত এখনো দেখানো হচ্ছে ভবনের ছাদ খোলামেলা। কিন্তু আমরা আজকে এখানে এসে দেখেছি অবৈধভাবে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা ছাদের রেস্টুরেন্ট ভেঙে দিয়েছি।

তাজিনা সারোয়ার আরও বলেন, ভবনটি এফ ওয়ান ক্যাটাগরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওই ক্যাটাগরি অনুসারে ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু আমরা পরিদর্শনে মাত্র দুই ফ্লোরের কিছু অংশ অফিস হিসেবে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি দেখলাম। বাকি অংশগুলোতে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১২ থেকে ১৫টি রেস্টুরেন্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে ওষুধ ও কাপড়ের দোকান পেয়েছি।

গেল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই উঠে আসে ভবনটিতে নকশা বহির্ভূতভাবে বানানো হয়েছে রেস্তোরাঁ। ভবনটিতে অফিসের অনুমতি নেওয়া ছিল। এ নিয়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রাজউক, সিটি করপোরেশনকে নিয়ে সমালোচনায় সরব হন নাগরিকরা।

সংস্থাগুলোর নাকের ডগায় দিনের পর দিন নিয়মবহির্ভূতভাবে রাজধানীতে এভাবে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চলায় তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। এরপরই বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান শুরু হয়। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে রেস্তোরাঁগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কিনা বা যথাযথ অনুমতি আছে কিনা সেগুলা দেখা হয়। অভিযানে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অনিয়ম থাকার কারণে মোট ৩৫ জনকে আটক করা হয়। এই ধারাবাহিকতায় আজও চলে অভিযান।

শেয়ার করুন