ফ্রান্স সরকার সে দেশে গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বে ফ্রান্সই প্রথম গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিল। গর্ভপাতের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে গতকাল সোমবার দেশটির সংবিধানে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। খবর এএফপির।
দেশটির ৭শ ৮০ জন আইনপ্রণেতা পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দেন। আর বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন ৭২ আইনপ্রণেতা। ফলে বিলটি কন্ঠভোটে পাস হয়। ভোটাভুটির ফল ঘোষণার সময় আইনপ্রণেতারা দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে স্বাগত জানান।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো এই উদ্যোগকে ’ফরাসি গর্ব’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার নিয়ে গোটা বিশ্বেই একটা বার্তা পৌঁছাল। আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্যারিস বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে এই উদ্যোগকে উদযাপন করবে।
পার্লামেন্টে বিল পাস হওয়ার পর এক বার্তায় প্যারিসে অবস্থিত আইফেল টাওয়ার আলোকিত হয়ে ওঠে। সেই বার্তায় লেখা ছিল, ‘শরীর আমার, সিদ্ধান্তও আমার।’
ফ্রান্সে ১৯৭৫ সাল থেকে গর্ভপাত বৈধ। তবে দেশটির মানুষ অনেক দিন ধরে এর সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছিলো। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ফ্রান্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ মনে করে, গর্ভপাত করাবে কি-না এটা একান্তই একজন নারীর সিদ্ধান্ত। আর নারীর এই অধিকার সংরক্ষণ করতে সংবিধানে সংশোধন আনা প্রয়োজন।
এ কারণে দেশটিতে ১৯৫৮ সালে প্রণীত সংবিধানে ২৫তম সংশোধনী আনা হলো। সর্বশেষ ২০০৮ সালে দেশটির সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল।