ভারতে বেকারত্বের হার বাংলাদেশের চেয়েও বেশি : রাহুল গান্ধী

মত ও পথ ডেস্ক

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সংগৃহীত ছবি

ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে বেকারত্বের হার বাড়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ভারতের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ এবং বাংলাদেশ, ভুটানের মতো দেশের চেয়েও বেশি।

রাহুলের অভিমত, মোদির জিএসটি এবং নোটবন্দি নীতির কারণেই ভারতে ক্ষুদ্র ব্যবসা কার্যত শেষ হয়ে গেছে। যে কারণে গত ৪০ বছরের মধ্যে ভারতে বেকারত্বের হার ইতিহাসের শীর্ষে পৌঁছেছে।

রোববার (৩ মার্চ) মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ‘ভারতজোড়ো ন্যায়যাত্রা’য় অংশ নিয়ে রাহুল এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের (আইএলও) এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাহুল বলেন, ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন ২৩ শতাংশ। আর পাকিস্তানে প্রায় ১২ শতাংশ।

আইএলওর ২০২২ সালে এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে ১৫-২৪ বছর বয়সী যেসব তরুণ কাজ খুঁজেছিলেন, তাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের নিরিখে গোটা বিশ্বে যে ছ’টি দেশ একেবারে পেছনের সারিতে রয়েছে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এই ছ’টি দেশের মধ্যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া এবং আর্মেনিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, ইরান। যেসব দেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার কম, সেই তালিকার প্রথমদিকে রয়েছে যথাক্রমে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া।

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এই পরিসংখ্যান এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। রাহুল সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরেছেন। ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, ২০১৪ সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে, তা বেড়ে দাড়ায় ২৬ শতাংশে। ২০১৯ সালে কিছুটা কমলেও করোনার বছর ২০২০ সালে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশ পার হয়ে গিয়েছিল। এখন কিছুটা কমে ২৩ শতাংশে। এরপরেও মোদী বলেন যে তিনি গরিবদের জন্য কাজ করছেন।

শেয়ার করুন