ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া। বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ঘোড়া প্রতীকের এই প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম।
শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণায় সাদেকুল ইসলাম বলেন, ১ হাজার ৩৮৪ ভোটের মধ্যে পড়েছে ১ হাজার ৩৬৬ ভোট। ভোট পড়ার হার ৯৮ দশমিক ৭০ শতাংশে। এতে ৭৪৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিল্লাল মিয়া।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, বিল্লাল মিয়ার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেলাল উদ্দিন। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক এই মেয়র চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯০ ভোট। আনারস প্রতীকে ১৩৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হয়। বিজয়ী বিল্লাল মিয়া কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। পেশায় ব্যবসায়ী বিল্লাল জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছিলেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আল মামুন সরকার ৮২২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম পান ৫৫৩ ভোট। ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর সকালে আল মামুন সরকার নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫টি পৌরসভা, ৯টি উপজেলা ও ১০০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে ভোটার। নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ৩৮৪ জন।
বিজয়ী প্রার্থী বিল্লাল মিয়া বলেন, সরকারিভাবে এখনো ঘোষণা হয়নি।কিছুক্ষণের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তবে কর্মী-সমর্থকদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী হয়েছি। সদস্য থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পেরে আমি অভিভুত ও অনেক বেশি আনন্দিত। কারণ আমার সঙ্গে যে দুইজন ভোটে লড়াই করেছেন তারা অনেক শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। ভোটারদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। জেলার উন্নয়ন সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।