ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫৪ ব্যাংকের অবস্থা বিশ্লেষণ করে সবল ও দুর্বল ব্যাংক বের করা হয়। যেখানে ১২টি ব্যাংকের অবস্থান অত্যন্ত নাজুক, যার ৯টি এরই মধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। ইয়েলো জোনে রয়েছে ২৯টি ব্যাংক। আর তিনটি ব্যাংক রেড জোনের খুব কাছাকাছি।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রিসার্সের জন্য দুর্বল ও সবল ব্যাংকের এই তালিকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্টেবিলিটি ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকগুলোর ছয়টি কম্পোনেন্ট নিয়ে এ তালিকা করে।
মঙ্গলবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি কম্পোনেন্ট নিয়ে দুর্বল- সবল ব্যাংকের তালিকা করেছে। এটা আমাদের নিজস্ব রিসার্সের জন্য করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার জন্য আমাদের এ রেটিং করা হয়নি। এছাড়া কোন ব্যাংক দুর্বল এটাতো জানা। শেয়ারবাজার থেকেও চিত্র আপনারা দেখতে পান।
মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের সব রিপোর্ট পাবলিকের জন্য করা হয় না। বেশ কিছু রিপোর্ট জাতীয় স্বার্থে গোপন রাখতে হবে। ব্যাংকগুলোর ওপর ক্যামেলস রেটিং কখনো পাবলিক হওয়ার জন্য নয়, এটা গোপনীয় আমাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন কম্পোনেন্ট নিয়ে এসেসমেন্ট করে। রেগুলার করি ফাইনেন্সিয়াল রিক্স ম্যানেজমেন্টের জন্য করা হয়, এটা প্রকৃত হেলথ ইনডিকেটর নয়।
এসময় তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে শ্রেণিকরণ করতে একটা পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক করেছি। যেখানে চারটি ক্যাটাগরিতে ব্যাংকগুলোকে মূল্যায়ন করা হবে। চলতি বছরের ব্যালেন্স শিটের ওপর ভিত্তি করে এটা করা হবে। যেটা কার্যকর হবে ২০২৫ এর মে মাস থেকে।
একীভূত নিয়ে তিনি বলেন, আগামী এক বছরে ১০ ব্যাংকে মার্জারের (একীভূত) পরিকল্পনা রয়েছে। মার্জারের প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্বতাও থাকবে মার্জারের ক্ষেত্রে। এখানে দুর্বল ব্যাংক সবল ব্যাংক হতে পারে, আবার সবল ব্যাংক আরও সবল ব্যাংক হতে পারে।