রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে অভিযান চালিয়ে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে অভিযানের নামে হয়রানি কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
অভিযানে গ্রেফতার হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকের নামের তালিকা প্রকাশ চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেফতার এবং ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অভিযান চালাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (রাজউক)। কয়েকটি রেস্টুরেন্ট সিলগালাও করেছে তারা। অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও গ্রেফতার ও জরিমানাও করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ।
ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় সরকারি সংস্থাগুলোর চালানো এসব অভিযানের সমালোচনা করে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি একে ‘হয়রানিমূলক’ দাবি করছে।